হজ্জের ফরজ কয়টি ও কী কী

হজ্জের ফরজ কয়টি ও কী কী

হজ্জের ফরজ কয়টি ও কী কী ?

হজ্জের ফরজ কয়টি ও কী কী নিম্নে দেওয়া হলো হজ্জের ফরজ তিনটি, যথাহজ্জের ফরজ কয়টি ও কী কী আমরা সেইগুলো শিখেছি, এখন শিখব হজ্জের ফরজ কয়টি ও কী কী তার ব্যাখ্যা্।কোন সময়ে কী কাজ আদায় করতে হবে।

১/ ইহরাম বাঁধা

২/ আরাফাতের ময়দানে অবস্তান করা ও 

৩/ তাওয়াফে জিয়ারত করা

১/ ইহরাম বাধাঁ

ইহরাম আরবি শব্দে হারাম শব্দ থেকে এসেছে। ইহরাম শব্দের অর্থ হলো কোন জিনিসকে নিজের উপর নিষিদ্ধ করে নেয়া। এক কথায় কিছু হালাল কাজকে হারাম করা ইহরামের মাধ্যমে। যথা স্ত্রী সাথে সহবাস করা,পশু শিকার করা, হাতের নখ, গোঁফ, মাথার চুল, বগল ও নাভির নিচের লোম, সেলাই যোক্ত পোশাক পরিদান করা ইত্যাদি। আর সেলাই বিহিন কাপর পরিদান কারা। পুরুষ হলে সেলাই বিহিন একটা কাপর কুমুরে পরিদান করবে এবং দ্বিতীয়া কাপর কাদে পেচানোর মাধ্যমে পরিদান করবে। ইহরাম বাধাঁর স্থান হলো মিকাত বা এর আগে বর্তী স্থান থেকে।

হজ্জের ফরজ কয়টি ও কী কী

২/ আরাফাতের ময়দানে অবস্তান করা

মহানবি হযরত মোহাম্মদ (সঃ) বলেছেন হজ্জের মূল এবং সবটাই হলো আরফাতের ময়দান। আরাফাতের ময়দান হলো মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটা দূরে অবস্থিত। হাজ্জিরা মিনার থেকে ৯ জিলহজে ফজরের নামায়ের পরে আরফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে রাওনা দিবেন। ৯ জিলহজের একদিন আরাফাতের ময়দানে অবস্তান করে আল্লাহ উদ্দেশ্য জিকির করা ও নামায আদায় করা। সূর্য পশ্চিম দিকে অস্ত যাওয়ার সাথে সাথেই মাগরিবের নামায না পরেই মুজদালিফার দিকে রওয়ানা হওয়া এবং মুজদালিফার পোচাতে রাত হয়েগেলো মাগরিব ও এশারের নামায় এক আজানে দুই একামতে নামায আদায় করা ।

৩/ তাওয়াফে জিয়ারত করা

তাওয়াফ শব্দের অর্থ বিরত থাকা, বেঁচে থাকা, ভয় করা, নিজেকে রক্ষা করা ইত্যাদি।  কাবার ঘরের চারপাশে ঘড়ির কাটার বিপরীতদিকে সাতবার ঘোরাই হলো তাওয়াফ করা। তাওয়াফ শুরুর পূর্বে হাজরে আসওয়াদে চুমু দেয়া। তবে ভিড়ের কারণে এর কাছে যাওয়া সম্ভব না হলে হাত দিয়ে ইশারা করে তাওয়াফ শুরু করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *