ওমরাহ করার নিয়ম ও কী কী,

ওমরাহ করার নিয়ম ও কী কী

ওমরাহ করার নিয়ম ও কী কী ?

ওমরাহ করা অনেক বড় একটি নেয়ামত এবং ফজিলতের কজ । ওমরাহ করার আগে জেনেনিন ওমরাহ করার নিয়ম ও কী কী নিযম শুরু থেকে শেষ পর্য়ন্তু !

১ নম্বর➤ ওমরাহ করার নিয়ম হলো ইহরাম বাধাঁ

মক্কা শরিফ গমনকারীদের জন্য নিজ নিজ মিকাত অতিক্রমের আগেই ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বাঁধা। ইহরাম বলতে সেলাইবিহীন দুটি কাপর পরিধান করা। কাপর গুলো যেকোন রং হতে পরে তবে সাদা হলে উত্তম। বাংলাদেশ থেকে হলে বিমানে ওটার আগে পড়ে নিবেন বা বিমান বন্ধরে মধ্যে পড়ে নিবেন, কারণ ইহরাম বাধাঁর পরে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে শুধু ওমরাহর নিয়ত করবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইহরাম বাধাঁর পর থেকে যে কোন ছোট থেকে ছোট পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। আর বেশি বেশি করে পাড়বের ঃ লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাই ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুল্ক  লা শারীকা লাকা।

২ নম্বর ➤ ওমরাহ করার নিয়ম হলো ওমরাহর তাওয়াফ করা

ওযু করে কাবার ঘরের চারপাশে ঘড়ির কাটার বিপরীতদিকে সাতবার ঘোরাই হলো তাওয়াফ করা। তাওয়াফ শুরুর পূর্বে হাজরে আসওয়াদে চুমু দেয়া। তবে ভিড়ের কারণে হাজরে আসওয়াতের কাছে যাওয়া সম্ভব না হলে হাত দিয়ে ইশারা করে তাওয়াফ শুরু করা যায়। তাওয়াফ করার সময়(মনে রাখতে হবে) ইহরামের কাপর ডান হাতের বগলের নিচে দিয়ে বাম কাদে উপরে দিতের হবে এবং পুরুষেরা দ্রুত গতির সাথে বীরের মত করে চলবে। সাতবার ঘোরা হলে দুই রাকআত নামাজ পড়া ওয়াজিব। আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করা হলে সাফা-মারওয়া পাহাড়ে সাতবার ‘সাঈ’ করা ওয়াজিব। সাফা মারওয়াই বিশেষ করে মনে রাখতে হবে সাফা থেকে একবার গেলে একবার হবে এবং সাফা থেকে মারওয়া আসলে দুইবার হবে। সাফা মারওযা সবুজ বাতি চিহ্নিত স্থানে পুরুষেরা দৌড়েপার করবে।

ওমরাহ করার নিয়ম ও কী কী,

৩ নম্বর➤ওমরাহ করার নিয়ম হলো মাথার চুল কাটা

পুরুষরা দুই ভাবে করতে পারে মাথা মুণ্ডানো ও পুরো মাথা ছাঁটানো আর মহিলাদের চুলের এক ইঞ্চি পরিমাণ কেটা ওয়াজিব। এইভাবে ওমরাহ কাজ সমাপ্ত হয়ে যায়। তারপর ইহরাম খুলে যাবতীয় কাজ স্বাভাবিকভাবে করা যাবে।

উপরে কাজগুলো করে আপনারা ওমরাহ কাজ শেষ হয় এবং সকলের ওমরাহ আল্লাহর কাছে কবোল হোক আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *